আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ কুয়েতের সাফাই শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে অবহিত।
এ ব্যাপারে লেখালেখিও হয়েছে অনেক কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা । কোথায় যেন চোরাবালির মত আটকে আছে সব।
গত ১৭ জানুয়ারী ২০১৯ বৃহস্পতিবার কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনায় আমরা কুয়েতের সংবাদ কর্মীরা মর্মাহত । আমরা যেদেশে থাকি সেদেশের আইনের প্রতি অত্যান্ত শ্রদ্ধাশীল হওয়া , আইন -কানুন মেনে চলা একান্ত জরুরী ।
আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ লেখালেখির মাধ্যমে অথবা বিভিন্ন মিটিং এ বক্তব্যে নয়তো দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহুবার অবহিত করা হয়েছে এখানে যারা চড়া দামে ভিসা বেচা-কেনা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য । কিন্তু দূতাবাস তাদের বিরুদ্ধে কতটুকু কি করতে পেরেছে তা ওঁনারাই ভাল বলতে পারবেন ।
আর এত বলার পরও কেন যে ৭/৮ লাখ টাকা খরচ করে , বাপ -দাদার ভিটা-বাড়ী বিক্রি করে এই টগবগে যুবকগুলি দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে ? তা’ও যদি ভাল কোম্পানী হত , ভাল বেতন হত তাহলে সব কিছু মেনে নেওয়া যেত ।
লাসকো কোম্পানির এই ছেলে দূতাবাস ভাঙচুর করে খুবই অন্যায় কাজ করেছে । দেশে এবং বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি এতদম ধূলায় লুটিয়ে দিয়েছে । বেশ অনেক বছর ধরে কুয়েত সরকারের সাথে আমাদের একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থান বিরাজ করছে কিন্তু এ ঘটনার পর পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে তা সহজেই অনুমেয়।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় এস এম আবুল কামালের প্রতি সবিনয় অনুরোধ করব – ভিসা ব্যবসায়ীদের ব্যপারে আপনার কঠোরতম অবস্থান দেখতে চাই ।
আর এসব সাধারণ শ্রমিকদের বিচার করার পূর্বে লাসকো কোম্পানীতে যারা ভিসা বিক্রি করে তাদের কাজ – আকামা ও বেতন দিতে ব্যর্থ তাদের বিচার আগে করবেন । কারণ এসব ঋণ গ্রস্ত ছেলেরা উপায় খুঁজে না পেয়েই এই অন্যায় অপরাধ করেছে ।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত , আমি মনে করি আপনার বিচক্ষণতা এবং ভিসা ব্যবসায়ীদের ব্যপারে কঠোর পদক্ষেপ , যত দ্রুত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করে এর সুষ্ঠু সমাধানই শুধু বয়ে আনতে পারবে কুয়েতে কর্মরত সাফাই কর্মীদের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত স্থায়ী সমাধান ।
– রউফ মাওলা
সম্পাদক – মাসিক মরুলেখা কুয়েত
– সভাপতি
ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ফোরাম (IMF ) কুয়েত ।